
সংসার ভাঙনের খবরে একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণি। তবে এবার চূড়ান্তভাবে সেই পথেই হাঁটলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি।

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দম্পতি পরীমণি ও শরিফুল রাজ। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
বিনোদন প্রতিবেদক
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বামী শরিফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছে এ নায়িকা। এ বিষয়ে পরীমণির আইনজীবী জানান, রাজের আচরণে অতিষ্ঠ হয়েই তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন নায়িকা।
গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আইনজীবী বলেন, ‘নারী আসক্তি রয়েছে রাজের। হাতে নাতে ধরাও পড়েছেন তিনি কয়েকবার। এসব আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ডিভোর্স ফাইল করেছেন পরীমণি। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর এই ডিভোর্স কার্যকর হয়ে যাবে।’
‘রাজ-পরীর দেনমোহরের পরিমাণ ছিল ১০১ টাকা। যদি তিন মাসের মধ্যে তারা নিজেরা বসে কোনো আপোষ-মিমাংসা না করে, তাহলে তিন মাস শেষে এই তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে সময় সংবাদকে নায়ক শরিফুল রাজ বলেন, এখনো কিছুই পায়নি। হাতে পেলেই সাইন করে দেব।
পরীমণি বিচ্ছেদপত্রে চারটি কারণ দেখিয়ে রাজকে তালাক দিয়েছেন। তিনি কারণ হিসেবে জানান ১. মনের অমিল হওয়া, ২. বনিবনা না হওয়া, ৩. খোঁজ না নেয়া এবং ৪. মানসিক অশান্তি জন্য ১৮ নম্বর কলাম অনুযায়ী বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করতে চান।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট মান-অভিমান ভুলে একত্রিত হয়েছিলেন আলোচিত এ দম্পতি। ছেলে রাজ্যের জন্মদিন পালনকালে একসঙ্গে দেখা মিলেছিল তাদের। পরে ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমণি-শরিফুল রাজের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন তাপস। এর মধ্যে একটি ছবিতে রাজকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায় পরীমণিকে।
পরীমণি এবং শরিফুল রাজ ‘গুণিন’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই সম্পর্কে জড়ান। এরপর প্রেম পর্ব কাটিয়ে বসে যান বিয়ের পিঁড়িতে। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরীমণি ও শরীফুল রাজ। ২০২২ সালে এই দম্পতির সংসারজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান।
২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পরীমণির। তবে ‘রানা প্লাজা’ (২০১৫) সিনেমাতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। পরীমণির উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মা, গুণিন, মুখোশ, বিশ্বসুন্দরী, স্বপ্নজাল, আমার প্রেম আমার প্রিয়া, রক্ত, মহুয়া সুন্দরী প্রভৃতি।