বৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রাত ৮:৩৩

পাংশায় এসএসসি নির্বাচনী পরিক্ষার প্রশ্নোত্তর ফাঁস

 

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:


রাজবাড়ীর পাংশায় এসএসসি’র নির্বাচনী পরিক্ষা চলকালিণ সময়ে এক পরিক্ষার্থীর কাছে ধরা পড়ে নকল। দেখা যায়, পরিক্ষা দিতে নিয়ে আসা হার্ড বোর্ডের পিছনে প্রশ্নপ্রত্রের সিয়িয়াল অনুযায়ী প্রশ্নের উত্তর লেখা। গত সোমবার (২ অক্টোবর) উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি পরিক্ষা চলাকালিণ সময়ে এ ঘটনা ঘটে। 


এ ঘটনায় ওই এলাকা ও শিক্ষাক মহলে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের।

বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান জানান, পরিক্ষার হল পর্যবেক্ষণ করার সময় সিয়াম নামের এক পরিক্ষার্থীকে নকল করতে দেখেন। পরবর্তীতে তাকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নিয়ে দেখা যায় পরিক্ষা দিতে নিয়ে আসা হার্ড বোর্ডের পিছনে প্রশ্নপ্রত্রের সিয়িয়াল অনুযায়ী প্রশ্নের উত্তর লেখা। তখন সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়।



জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম জানায়, হাবাসপুর কে. রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের আলী আকবর নামের এক পরিক্ষার্থীর মাধ্যমে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে পেয়েছে প্রশ্নোত্তর। তিনি আরও জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস না হলে, হুবহু প্রশ্নোত্তর পেল কোথায়? তাদের বিদ্যালয়ের মাহিম শেখ নামের আরও এক শিক্ষার্থীকে ধরার পর জানায়, ৫০০ টাকার বিনিময়ে সিয়ামের কাছ থেকে প্রশ্নপ্রত্রে সিয়িয়াল অনুযায়ী প্রশ্নত্তর পেয়েছে। 



বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল জানান, পাংশা—কালুখালীয় উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। আমরা বিষয়টি কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি ও সম্পাদককে জনিয়েছি। তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমারা শুধু ওই দুই পরিক্ষার্থীর কাছ থেকে উক্ত পরিক্ষার খাতা নিয়ে নিয়েছি। তবে তারা অন্যান্য পরিক্ষা দিচ্ছে।



হাবাসপুর কে. রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক চাঁদ আলী জানান, এ বিষয়ে পাংশা—কালুখালীয় উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি ও সম্পাদক আমাদের কাছে এসছিলেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আলী আকবরের সাথে তারা যোগযোগ করেছেন। আমি শুনেছি আলী আকবর ইয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপিঠের এক শিক্ষারর্থীর কাছ থেকে পেছেছে। তবে ওই শিক্ষার্থীর নাম জানি না।



পাংশা—কালুখালীয় উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম বলেন, এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আমিও রয়েছি। আমরা সর্ব শেষ এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপিঠের শাওন নামের এক পরিক্ষার্থীর কথা জানতে পেরেছি। তবে কারো কাছেই প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়নি। কিছু প্রশ্নত্তর লেখা পেয়েছি। তদন্ত এখনো চলমাণ রয়েছে। তদন্ত শেষে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 



এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp