
মো. শামীম হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর পাংশায় গড়াই নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মধ্যেমে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের নাদুড়িয়া ঘাট এলাকা থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিনের দ্বারা পাইপের মাধ্যমে অন্যত্রে নিয়ে চলছে ভরাটের কাজে। সরকারি পরিকল্পনা ছাড়া অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কৃষকদের ফসল।
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিনের দ্বারা পাইপের মাধ্যমে নদী থেকে অন্যত্রে নেওয়া হচ্ছে বালু। তবে ড্রেজার মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। নাদুরিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে কসবামাজাইল সড়ক সংলগ্ন স্থানীয় মো. ফিরোজ শেখ নামে এক ব্যক্তির জায়গা ভরাট কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বালু।
এ সময় জমির মালিক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, আমার ৮শতাংশ জমির গর্ত ভরাট করার জন্য বালু ব্যবসায়ী মো. হাফিজকে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে দিয়েছি। তিনি আমার জায়গাটি ভারাট করে দিচ্ছেন। কোথা থেকে, কি ভাবে ভরাট করে দেবেন? সেটা তার বিষয়। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই।
স্থানীয়রা জানায়, এই নদী এমনিতেই অনেক স্বরু। নদীর এক পাশ দিয়ে জাগা চর দিয়ে আমরা পিঁয়াজ, রশুন, মেটরকালাই, শরিষা সহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করেছি। ড্রেজার মেশিনের মধ্যেমে রাতের অন্ধাকারে বালু উত্তোলন করা হয়। অপরিকল্পিত ভাবে এবং অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করলে আমাদের চরে জাগা এই ফসলী জমিগুলো নদীতে বিলিন হয়ে যাবে। এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান স্থানীয়রা।
ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে মো. হাফিজ বিশ্বাস জানান, প্রশাসনের অনুমোতি ছাড়াই ড্রেজার মেশিন লাগিয়েছেন। গতকাল মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। দশ বছর পর নদীতে ড্রেজার মেশিন লাগিয়েছেন। আগামীকাল মেশিন উঠিয়ে নেবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, ওই জায়গা থেকে গত সপ্তাহে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি। আবার চালুর বিষয়টি আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।