সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ভোর ৫:৩৫

পাংশা থানার ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। অপরদিকে মামলাটি হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলোক দাবি করে মানববন্ধব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাংশার সচেতন নাগরিক সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে সোমবার বেলা ১২ টায় পাংশা শহরের আব্দুল মালেক প্লাজার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রিমা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

পাংশা উপজেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি ও পাংশা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এম.এ জিন্নাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিয়া টিপু, পাংশা শিল্প ও বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার সরদার, পাংশা উপজেলা জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডা: আবুল হোসেন কলেজের প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন (আলম), জামায়াত নেতা আবু সাঈদ, জেলা ছাত্রদল নেতা মো. সজিব রাজা,  ভালোবাসার শহর পাংশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাগর শিকদার প্রমূখ। মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন, যুব দল নেতা খলিলুর রহমান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন একজন নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী মানুষ। তিনি পাংশার থানায় যোগদানের পর থেকে পাংশার মানুষ নির্বিগ্নে তার কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং সমাধান পান। বর্তমানে পুলিশের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে না পেরে একটি স্বার্থন্বেষী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ওসির বিরুদ্ধে হয়রানীমূলোক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে অবিলম্বে ওসির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রায় শতাধির ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য: গত ২২ মার্চ পাংশা পৌরসভার পারনারায়ণপুর গ্রামের ভাড়াটিয়া সৌদি প্রবাসী বাদশা মিয়ার কন্যা প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাসা থেকে বেড় হয়। পরে বাসায় ফিরে না আসায় বাদশার স্ত্রী মোছা: মিনি খাতুন (৩০) বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ পাংশা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। উক্ত মামলায় রিমা আক্তার (২৮) কে ৫নং আসামি করা হয়। পরবর্তীতে গত ৬ এপ্রিল রিমা আক্তার বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাংশা থানার ওসি-এসআইসহ তিনজনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।

এ বিষয়ে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, রিমা খাতুন একটি অপহৃত মামলার আসামী। সেই মামলা যেন পুলিশ তদন্ত করতে না পারে। পুলিশের কাজকে বিঘ্নিত করার জন্য এবং মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তৃতীয় পক্ষের প্ররচনায় পুলিশের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছে। যা সম্পুর্ন বানোয়টা ও ভিত্তিহীন।

 

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp