
পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজের একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে ময়লা পড়া ও পুরাতন ইট। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলেজের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিনে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত প্রকল্পের আওতায় পাংশা সরকারি কলেজে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি আরসিসি সড়ক। কলেজের মেইন ফটক থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি পর্যন্ত। সড়কটির দৈর্ঘ ৮৪ মিটার। সড়কটি নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ (আট) লক্ষাধিক টাকা। কাজটি করছেন মেসার্স ওদুদ মন্ডল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সম্পুর্ণ সড়কের দুই পাশ দিয়ে ইটের গাথনি দেওয়া হয়েছে। সড়কের মাঝ দিয়ে বালু ভরাটের কাজ চলছে। দুইপাশ গাথনি দেওয়া ইটগুলো মাঝে মাঝে খুলে গেছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য কলেজের সামনে ইট এনে রাখা হয়েছে।
এ সময় কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, যতটুকু কাজ করা হয়েছে তার মান খুবই নিম্ন মানের হয়েছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে গাথা ইটগুলো পা দিয়ে ধাক্কা দিলেই খুলে যাচ্ছে। বাকি কাজে ব্যবহারের জন্য যেই ইটগুলো এনেছে তার অর্ধেক ইট ময়লা পড়া ও পুড়াতন। আর অর্ধেক খুবই নিম্ন মানের।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ক্যাপ্টেন মো. ইয়ামিন আলী বলেন, অনেক ধীর গতিতে কাজ করছে ঠিকাদার। যতটুকু কাজ করেছে তাতেও অনিয়ম করা হয়েছে এবং মানসম্মত নয়।
অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, সড়কটি কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে। এটি কলেজের প্রধান ও গুরুত্বপুর্ণ সড়ক। মান ঠিক রেখে অতিদ্রুত কাজ শেষ করার দাবি তাদের।
জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনে নিয়ে স্থানীয় আকাই নামের এক ব্যাক্তি কাজটি করছেন। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে একদিন ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখে যায়। আগামীকালওে
আসবে। তিনি যে ভাবে বলবেন, সেই ভাবে কাজ করে দেব।
নির্মাণ কাজের তদারকির দায়ীক্তে থাকা পাংশা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈমুর রহমান বলেন, আমি আগামীকাল কাজের সাইডে যাব। সেখানে গিয়ে কাজ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।