
পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি।
গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামরে একটি ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা একজন মহিলার অর্ধগলতি মরদেহ উদ্ধার করে কালুখালী থানা পুলিশ। মরদেহর পরচিয় সনাক্তরে জন্য কোন ধরণরে তথ্যপাত্ত ছিলনা। স্থানীয়দের জজ্ঞিাসাবাদ, মাইকং, সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েও মরদেহর কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে কালুখালী থানা পুলশি বাদী হয়ে গত ৭ অক্টোবর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে।
পরে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু কর পুলিশ। এক পর্যায়ে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন র্পূবক মোঃ আঃ রহিম মন্ডল (৫৬) নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার রহিম মন্ডল জেলার পাংশা উপজেলার জাগিরকয়া গ্রামের মৃত তাছের আলী মন্ডলের ছেলে। গতকাল ১৭ অক্টোবর কালুখালী থানার বড়ইচারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মোঃ আঃ রহিম মন্ডল জানায়, অর্ধগলতি মরদেহ মহিলা ব্যাক্তি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামের সেকেন ফকিরের মেয়ে ফাহিমা (৪১)। ফাহিমাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার মোঃ আঃ রহিম মন্ডল।
ঘটনার বিবরণে তিনি পুলিশকে জানায়, তিনি এবং ফাহিমা (ভিকটিম) অনুমানিক ৩ বছর পূর্বে একই সঙ্গে কাতারে ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় ফাহিমা তার কাছ থেকে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২,১০,০০০ টাকা ধার নেয়। উভয়ই দেশে ফিরে আসার পর ফাহিমার কাছে তিনি পাওনা টাকা ফেরৎ চান। ফাহিমা টাকা দিতে তাল বাহানা করলে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩০ অক্টোবর ফাহিমাকে ফরিদপুর থেকে নিয়ে এসে ঘটনাস্থলে পরিকল্পনা মোতাবেক গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রেজাউল করিম। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,(ক্রইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার,(পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, কালুখালী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস সহ রাজবাড়ীতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ।