মঙ্গলবার, ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রাত ৮:১৬

ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে এক ভুয়া মেজর আটক

ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে মো. আমিনুল ইসলাম আপন (৩৭) নামের এক ভুয়া মেজরকে আটক করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৯ পদাতিক ডিভিশনের ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের ১৫ আরই ব্যাটালিয়নের ফরিদপুর সেনা ক্যাম্পের সহায়তায় আপনকে আটক করা হয়।

আমিনুল ইসলাম পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার পাঁচ পুংলি গ্রামের মৃত আলেফ মন্ডলের ছেলে। আমিনুলের দাবি, তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিক ছিলেন। ২০২২ সালে তাঁকে ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন থেকে বরখাস্ত করা হয়।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আপন বলেন, মধুখালী থানায় এক তরুণীর অভিযোগ দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরে জনতা ব্যাংক মোড়ের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আপনকে আটক করা হয়।

সেনা ও পুলিশের তথ্য মতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আপন স্বীকার করেছেন যে, গত কয়েকদিন ধরে তিনি নিজেকে কখনো সেনাবাহিনীর মেজর, কখনো র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণী বলেন, ‘আমিনুল মেজর—এই পরিচয়ে আমাদের মধ্যে ফেসবুকে কথাবার্তা শুরু হয়। পরে তা ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে যায়। গত রমজানে আমিনুল আমার কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেন। পরে তা আর ফেরত দেয়নি।’

তরুণী জানান, পরে নতুন করে আমিনুলকে আরও দুই লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ফরিদপুরে নিয়ে আসেন এবং সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, মেজর পরিচয়দানকারী আমিনুলকে কোতয়ালী থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। যেহেতু মধুখালী থানায় তরুণী অভিযোগ করেছে, সে কারণে তাঁকে মধুখালী থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে এই ব্যাপারে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামানকে একাধিকবার কল করলেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp