
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক শ্রমিক লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন রাজু আহমেদ ও বাবলু নামের আরও দুজন। তাদের মধ্যে রাজুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পরে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে হামলার শিকার জাহাঙ্গীর আলমকে প্রথমে লালমনিরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে। দুপুর ৩টার দিকে রমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৫০) লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেড়পাঙ্গা এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শ্রমিক লীগ অধিভুক্ত লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগ কর্মী নূর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সকালে শান্তি সমাবেশ পালনের উদ্দেশে বুড়ির বাজারের একটি দোকানে জড়ো হলে সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় তারা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে জাহাঙ্গীর হোসেন তখন মারাত্মক আহত হন।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালের দিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করতে থাকেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বিএনপি অধ্যুষিত সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকায় সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সমর্থিতরা শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা করে জাহাঙ্গীর হোসেন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও আওয়ামী লীগ কর্মী বাবলুকে কুপিয়ে আহত করেন।