
স্পোর্টস ডেস্ক
চোটগ্রস্ত দুই খেলোয়াড় – অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও পেসার তাসকিন আহমেদ। গত ১৯ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও দুজন খেলেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামার আগে পাঁচটা দিন কেটে যাবে, ততদিনে সাকিব বা তাসকিনের সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু মুম্বাই থেকে যা খবর আসছে, তাতে সাকিব নিয়ে তো শঙ্কা এখনো আছেই, তাসকিনকে নিয়ে শঙ্কা আরও বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাসকিনের খেলা হচ্ছে না, এটাও বোধ হয় বলে দেওয়াই যায়।
সাকিব কোয়াড্রিসেপে চোটটা পেয়েছিলেন গত ১৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিনও অনুশীলনে তাঁকে দেখে ম্যাচে তাঁর খেলার সম্ভাবনা বেশি বলেই তখন মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে স্ক্যান করে বোঝা যায়, এখনো খেলার মতো অবস্থায় আসেননি সাকিব, ভারতের বিপক্ষে তাই খেলা হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়কের। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগেও সাকিব পুরোপুরি ফিট নন।
আজ মুম্বাইয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন সাকিব। প্রায় দুই ঘণ্টার নেট সেশনে তাঁকে দেখে মনে হয়নি, ব্যাটিংয়ে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে সাকিবের। তবু সাকিবকে নিয়ে শঙ্কা, কারণ সাকিব নেটে বোলিং অনুশীলনটা করেননি। বোলিং করার সময় ব্যথা ফিরে আসে কি না, তা তাই বোঝা যায়নি। ওয়ার্মআপ আর সে সময়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে ব্যথা কিছুটা অনুভব করেছেন বলেই মনে হয়েছে।
সাকিবকে নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচের আগের রাতে আবার স্ক্যান শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সাকিবের ব্যাপারে।
কিন্তু এ তো গেল সাকিবের কথা। তাসকিনের কী অবস্থা? ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হঠাৎ তাসকিনের বাদ পড়ার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে পরে জানা গেছে তাঁর পিঠে চোট। এবং তাঁর চোটটা একটু গুরুতর বলেই মনে হচ্ছে। আজ অনুশীলনে গিয়েও কিছু করতে পারেননি তাসকিন। বল হাতে নিলেও বোলিং করে
ননি। একের পর এক শুধু আলোচনাই চালিয়ে গেছেন তাসকিন, কখনো মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে, কখনো ফিজিওর সঙ্গে। চিকিৎসকও তাঁকে বোলিংয়ের জন্য সবুজ সংকেত দেননি বলেই জানা গেছে।
খানিকক্ষণ রানিং অবশ্য করেচেন তাসকিন। এরপর ফিরে গিয়ে জানিয়েছেন, দল থেকে বোলিং করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাই তাসকিনের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি ধরে নেওয়া যায়। সাকিবের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো।