
নিজস্ব প্রতিবেদক।
স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতির আশ্রায় নিয়ে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ৭এপ্রিল (সোমবার) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাংশা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম খোকন মিয়া। অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন।
জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকোয়ারমেন্ট (এমএসআর) এর কাজ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দরদাতাকে দেয়া হয়েছে। যা সরকারি নীতিমালার পরিপন্থী। পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এ অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাংশা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম খোকন মিয়া বলেন, এস.এ স্যার্জিক্যাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আমি দরপত্র দাখিল করেছি। এস.এ স্যার্জিক্যাল ফাস্ট লয়েষ্ট হওয়া শর্তেও কাজ দেওয়া হয়নি। স্বজনপ্রীতি ও দূর্ণীতির আশ্রায় নিয়ে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এবাদত হোসেন বলেন, সম্পুর্ণ অনলাইন প্রক্রিয়ায় ঠিকাদার নির্বাচিত হয়েছে। এখানে কোন ভাবেই অনিয়ম করার সুযোগ নোই। যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি কোন ঠিকাদর নয় বা কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র দাখিল করেনি।
রাজবাড়ী জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস.এম মাসুদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।